সহীহ হাদীস হলেই সেটি আমার মাযহাব?
উপরোক্ত বক্তব্যের ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি কথা। যথা-
১
উক্ত কথাটি ইমামগণ বলেছেন, মর্মে ইমামগণ পর্যন্ত কোন বিশুদ্ধ সনদ কি কোন লা-মাযহাবী দেখাতে পারবে?
আর বিশুদ্ধ সনদ ছাড়া কথা কি তারা গ্রহণ করে? তাহলে এ কথা নিয়ে কেন এত লাফালাফি?
২
উক্ত কথাটিকে লা-মাযহাবী বন্ধুগন যেভাবে ব্যবহার করেন, সেই অর্থে কোন
বিজ্ঞ ব্যক্তি উক্ত আহমকী কথা বলতেই পারেন না। কারণ হাদীস বিশুদ্ধ হলেই
সেটি কারণ পথ বা মাযহাব হয়ে যেতে পারে না।
আরো মজার বিষয় হল, যদি আমরা মেনেও নেই যে, ইমামগণ উক্ত কথাটি বলেছেন, তাহলে
বুঝা যায়, ইমামগণ সহীহ হাদীসকেই নিজেদের আমলের ভিত্তি সাব্যস্ত করেছেন।
তাহলে সেই সব ইমামগণ যেসব হাদীসের উপর ভিত্তি করে মাসআলা বললেন।
নিশ্চিতভাবেই সেই হাদীসটি তাদের কাছে সহীহ। এ কারণেই সেই হাদীসের ভিত্তিতে
তারা মাসআলা বলছেন। কারণ তাদের মতে সহীহ হাদীস হলেই সেটি তাদের মাযহাব হয়।
উদাহরণতঃ
আমীন আস্তে বলার হাদীস, রফয়ে ইয়াদাইন ছেড়ে দেবার হাদীস, ইমামের পিছনে
মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা পড়ার হাদীস যেহেতু ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর কাছে সহীহ
ছিল বলেই তিনি এ সংক্রান্ত হাদীসের উপর করেছেন। এ বিষয়ে মত দিয়েছেন। কারণ
সহীহ হাদীস হলেইতো তার মাযহাব। যা বুঝায়, তিনি এ সংক্রান্ত হাদীস দুর্বল
হলে তিনি আমীন আস্তে, রফয়ে ইয়াদাইন ছেড়ে দেয়া এবং ইমামের পিছনে মুক্তাদীর
সূরা ফাতিহা ছেড়ে দেবার ফাতওয়া প্রদান করতেন না। যেহেতু তার কাছে এ বিষয়ক
হাদীস সহীহ মনে হয়েছে তাই তিনি এর উপর আমল করেছেন।
এখন যে সমস্ত লা-মাযহাবীরা বলে বেড়ায়, ইমাম আবু হানীফা রহঃ বলেছেন,
হাদীস সহীহ হলে সেটি তার মাযহাব। সেই সমস্ত লা-মাযহাবীরা কোন মুখে ইমাম আবু
হানীফা রহঃ এর আমলকৃত আস্তে আমীন, রফয়ে ইয়াদাইন ছেড়ে দেয়া এবং ইমামের
পিছনে সূরা ফাতিহা না পড়ার হাদীসকে পরবর্তী কোন মুহাদ্দিসের নাম বলে জঈফ
বলেন?
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
/5481/
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
/5481/
No comments:
Post a Comment